পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অর্থহীন- অদ্ভুত সেই ছেলেটি

অদ্ভুত সেই ছেলেটি আবার শুরু করল হাঁটা কালো লম্বা এলোমেলো চুলে চোখ দুটো তার ঢাকা হাতে তার অ্যাকৌস্টিক পকেটে হারমোনিকা  কষ্টে ভরা এ জীবনের বহু গান যে তার শোনা  আমাদের এই বাংলাদেশে ছিল তার বাড়ি  কাউকে কিছু না বলে অভিমানে দূর দেশে দিল পারি  পকেটে টাকা শেষ খাওয়া হয়নি কিছু খিদে কেন ছুটছে শুধু তার পিছু পিছু অদ্ভুত ছেলেটি শুরু করল গাওয়া  হাতে তার অ্যাকৌস্টিক পকেটে হারমোনিকা জোছনায় অজানা পথে চলা এখানে আছে যে মোর ভালোবাসা জোছনায় অজানা পথে চলা এখানে আছে যে মোর ভালোবাসা একটি বনে ঢুকল সে গাছ্গাছালিতে ঢাকা আনমনা হয়ে প্রকৃতি দেখে বিশাল বনে একা খিদের জালায় অস্থির মন যাবে কী বাড়ি ফিরে তার চেয়ে জীবন ভালো বন্য প্রাণীর ভিড়ে অদ্ভুত ছেলেটি শুরু করল গাওয়া হাতে তার অ্যাকৌস্টিক পকেটে হারমোনিকা জোছনায় অজানা পথে চলা এখানে আছে যে মোর ভালোবাসা জোছনায় অজানা পথে চলা এখানে আছে যে মোর ভালোবাসা পাহাড়ী ঝর্ণা রংধনু পাহাড়ের কথা বলায়  প্রকৃতি বলে গান গেয়ে যাও শুনছি আমি তোমায় তুলে নিল সে হাতে গিটার অন্য এক সুরে প্রতিভার কথা জানিয়ে দিল শান্ত প্রকৃতিকে অদ্ভুত ছেলেটি শেষ হয়না গানটা খুদার্থ দেহ থেকে জীবনটা

স্বার্থপর

চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর আমাকে কেন জোছনা দেখালি হবি যদি নাও ভাসিয়ে দেশান্তর পাথরের বুকে ফুল কেন ফোটালি আমারই সীমানায় সে তো তোর ছায়া সেখানে করে বিচরণ দুঃখের নিবাস রাখিস কি খবর তোর আঘাতেই জমে গেছে নীল আকাশের জমিনে নীল বেদনা। চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর আমাকে কেন জোছনা দেখালি জানি না কোন প্রহরে হয়েছিলো যে পরিচয় কি পেলাম কি হারালাম সে তো এক সংশয় নীরব এ আড়াল থেকে করেছি যে সব পরিণয় সেই তুমি হারালে ঠিকই সেকি নয় বিষ্ময় আমারই সীমানায় সে তো তোর ছায়া সেখানে করে বিচরণ দুঃখের নিবাস রাখিস কি খবর তোর আঘাতেই জমে গেছে নীল আকাশের জমিনে নীল বেদনা। চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর আমাকে কেন জোছনা দেখালি আঁধার এর অন্তরালে বসে যতবার ভেবেছি শূণ্যতারই হাহকার একাকী শুনেছি তোমারই আঁখি পটে আকাশের নীল দেখেছি সে তো বিবর্ণ হবে কখনো ভাবিনি… আমারই সীমানায় সে তো তোর ছায়া সেখানে করে বিচরণ দুঃখের নিবাস রাখিস কি খবর তোর আঘাতেই জমে গেছে নীল আকাশের জমিনে নীল বেদনা। চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর আমাকে কেন জোছনা দেখালি হবি যদি নাও ভাসিয়

দুঃখ বিলাস

জনালা দিয়ে আকাশের দিকে উদ্ভ্রান্ত মনে তাকিয়ে আছি । কাল ল্যাব এ একটি প্রোজেক্ট জমা দিতে হবে । অথচ কাজ করতে ইচ্ছে করছেনা । স্নিগ্ধ হাওয়ায় আকাশে চাঁদের সাথে মেঘের খুনসুটি দেখছি । ঝুম বৃষ্টি শুরু হল । আমি তবুও আকাশ দেখতে থাকি । এই মুহূর্তে মনটি খুব খারাপ । ভালবাসার নিষ্ঠুর চপঘাতে জর্জরিত এক মানবির কথা ভাবছিলাম । যার প্রতিটি মুহূর্ত কাটে এক অনাবিল দুঃখ স্রোতে । বাস্তবতার নির্মম পরিহাসে জর্জরিত ভিত্তিহীন পথযাত্রি এই মেয়েটি । সবার মত ভালবাসার মোহে আকৃষ্ট হয়ে সেও ভালবেসেছিল কাঙ্খিত এক ভাগ্যবান ছেলে কে । বলছি বাবা মায়ের ভালবাসা এবং আদরের এই ছোট্ট মেয়েটির জীবনের কথা । ক্লাস সেভেন । এই সময় মানুষের মনের পরিবর্তন ঘটে দ্রুত । চারপাশের জগত কে নতুন করে দেখার অকৃতিম ইচ্ছা ছেয়ে বসে অনেকেরই । যেমনটি ঘটেছিলো মৌমি এর । ক্লাস টেন এর একটি ছেলে , নাম রেজা , তার দিকে অপলকে তাকিয়ে থাকতো । মায়াবি এই চেহারা তে কি ছিল জানিনা , তবে খারাপ লাগত না মৌমির । প্রথম প্রথম