পোস্টগুলি

2014 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্বাধীনতার ইতিহাসও আজ অন্যরকম

সাধারনত আমি হিন্দি সিনেমা দেখিনা , দেখলে এলারজি লাগে , গা চুলকায়। কিন্তু কিছু বন্ধুর কথায় এবং ফেসবুকের হাজারো মন্তব্যের ফলশ্রুতিতে দেখতে বসলাম গুন্ডে সিনেমাটা। কারন ছিলো একটায় এখানে নাকি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। ছবি টার শুরু তেই ভয়েস ন্যয়ারেশন, যার বাংলা টা এরকম- ‘১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১, শেষ হলো ভারত পাকিস্তানের তৃতীয় যুদ্ধ। প্রায় নব্বই হাজার পাকিস্তানী ফৌজ আত্মসমর্পণ করলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে সেদিন। এটা ছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণ। এই যুদ্ধের ফলে জন্ম নিলো একটি নতুন দেশ, বাংলাদেশ। কি ভাইজান রা ?? সহ্য হচ্ছে ?? আমার তো শরীর থর থর করে কাপছে রাগে , ক্ষোভে ,। মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাসকে যারা বিকৃত করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবিলম্বে দৃঢ় অবস্থান আশাকরছি। প্রতিবেশিদেশের সমস্যাটা কি আমি আজ বুঝতে পারলাম না। আমাদের পিছে সবসময়কি তাদের লেগে থাকতে হবে?? আমাদের সংস্কৃতি কে তো ফাটল ধরিয়েই দিয়েছে তারা, এখন ইতিহাসকেও ধূলিসাৎ করার প্রজেক্ট হাঁতে নিয়েছে। এসব লিখে কি হবে, আমাদের শরীরে ইঞ্জেকশনের মত ভারতীয় সংস্কৃতি ঢুকে গেছে । কি দরকার এসব বলে , নাইন এক্স

“ফুটবল” জড়িয়ে আছে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে

ছাত্র জীবনের নিয়মিত কার্যক্রম টিউশনি সেরে রাস্তা দিয়ে হাঁটছি । সুন্দরবন কলেজের সামনে দিয়ে হাঁটছি নিয়ন আলোর রাজ পথে। ঝিরিঝিরি বাতাসে রাতের ব্যাস্ত নগরীর ব্যাস্ত রাস্তা ধরে হাঁটছি । আলিয়া মাদ্রাসার পাশে একটি যায়গায় ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে । হুজুরের একটি ভাষ্য আমার কান ভেদ করে মস্তিস্কের নিউরনে আঘাত করলো আর সাথে সাথেই আমি থেমে গেলাম । হুজুরের ভাষ্য টা ছিল এমন “আপনাদের খুলনা শহরে তো অনেক বড় বড় স্টেডিয়াম আছে , ফুটবল , ক্রিকেট নিয়মিতই দেখেন আপনারা , তো মনে করেন মেসি অথবা রোনালদো একটা ফুটবলে কিক মারলো খেলার সময়ে। বলটি সাইড লাইন অতিক্রম করে মাঠের বাইরে গিয়ে পড়লো , তাহলে কি হবে ?? আউট বল । কারন একটা সিমানার বাইরে বল যাওয়ার জন্য সেইটা আর বিবেচনায় আনা হবে না। তো আপনারা যারা প্যান্ডেল এর নির্দিষ্ট সীমার বাইরে দাড়িয়ে আছেন বা ঘোরাফেরা করছেন আপনারাও কিন্তু আউট অফ এই অয়াজ মাহফিল । মাহফিলে শরীক হতে হলে প্যান্ডেল এর ভিতরে এসে শুনতে হবে , কি বোঝাতে পেরেছি ?? ” হুজুরের এই বোঝানোর ক্ষমতা দেখে আমি পাথর হয়ে গেলাম , আসলে ফুটবলটা মানুষের রক্তে মিশে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মিশে আছে ফুটবল । জয় হো

ফেলানি হত্যা এবং নষ্ট মানবতা

একটা রাইফেল, একটা সীমান্ত। একটা ভিনদেশী বুলেটের আততায়ী অনুপ্রবেশ। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে কিশোরীর লাশ! ধর্ষিত পতাকায় আমার অক্ষম বর্ধিত দীর্ঘশ্বাস ফেলানী - আমার ভৌগলিক সীমান্তে লুণ্ঠিত জাতীয়তা। কাঁটাতারে গেঁথে রাখা ভণ্ডামির মানবতা। ফেলানী - আমার কুৎসিত মৈত্রী সমৃদ্ধির বেশ্যা প্রবৃত্তি। ভাড়ামির বন্ধুতার দায় দণ্ডিত জাতির পতাকা। আজ ফেলানির মৃত্যুবার্ষিকী। এইদিনে প্রতিবেশিদের কাছ থেকে পেয়েছিলাম এই উপহারটি । আজও বিচার হয়নি , এই লগ্নে এসে বিচার চেয়েও পাইনি। ক্যামনে পাবো ?? আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই, আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি। ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতর। এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়? স্বাধীনতা - এ কি তবে নষ্ট জন্ম? এ কি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল? জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন! আমার লেখাটা পরার সময় হয়ত অনেকের কানে হিন্দী গান বাজতেসে অথবা সামনেই টিভি তে হিন্দী চ্যানেল চলতেছে! থাক আমাদের জাতি দেশ প্রেমের মুখোশের নিচে! লুকিয়ে থাক বিবেক! আমিতো আমার ঘরে নিরাপদ! কি দরকার তাহলে কোন সীমান্তে কে মরছে তা নিয়া ক

প্রথম ভোট দেওয়া

সকাল ১০টা । এক বন্ধু : মামা ভোট দিছস ??? আমি :নারে দোস্ত ভোট দেইনাই , কেবল ঘুম থেকে উঠলাম বন্ধু : দিবি ??? আমি:জানিনারে দোস্ত , মন চাচ্ছে না । সকাল ১১ টা এক বন্ধু: দোস্ত কই তুমি ?? আমি: এইতো হাটতেছি বন্ধু : ভোট দিতে কি আসবা ??? আমরা সবাই আসছিলাম। আমি : না, আসা হচ্ছে না। ভালো লাগছে না। তোমরাই দাও । দুপুর ১টা, ফেসবুকে নক করলো দুইজন । ওদের বক্তব্য যে আমি ভোট দিতে গেছি কিনা । আমি সরাসরি জানায়ে দিলাম না। যাবো না। এছাড়া মারামারি হচ্ছে , ককটেল ফুটছে। ইত্যাদি , ইত্যাদি। দুপুর ২.৩০ মি : মাত্র লাঞ্চ নিয়ে বসেছি। আমাদের এলাকার কিছু পরিচিত মানুষ আসলো আমাদের যাদের কে আমি শ্রদ্ধা করি। আমাকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের আগমন । আমার ভোট টি নিয়ে আমার থেকে উনারা বেশ চিন্তিত। যায়হোক কথা ফেলতে পারলাম না। সরকারি দলের হয়ে যিনি দাঁড়িয়েছিলেন তিনি আমাদের আত্মীয় হন। তো খাওয়াদাওয়া করে গেলাম সেই ভুতের ক্রিত্তন দেখতে । একটা স্লিপ ধরিয়ে দেওয়া হলো । রুম নাম্বার ও দেখায় দিলো।আমি ভাব টাব নিয়ে ঢুকে পরলাম রুমে। এর মাঝে আমি কোন আগুন্তক দেখলাম না। যায় হোক গল্পে ব্যাস্ত প্রিজাইডিং অফিসারে অবশেষে তাদের কাঙ

অকারনে মন খারাপ হয়না

কিছু মানুষ এর মতে “মানুষের নাকি অকারনেই মন খারাপ হয়”। এইটা আমার বোধগম্য নয়। মানুষের মন অনেক বৈচিত্র্যময় সেইটা আমি মানি , কিন্তু কোন সুনির্দিষ্ট কারন ছাড়া আপনার মন কখনোই খারাপ হবে না। সেই কারণটি হতে পারে অনেক গুরুতর বা তুচ্ছ, মন খারাপের পিছনে সুনির্দিষ্ট একটা কারন থাকবেই । কারন মানুষের মন অনেক স্পর্শকাতর । অল্প আনন্দে যেমন এটি আপনাকে প্রফুল্ল রাখবে ঠিক মৃদু কোন কারনে হৃদয় ভেঙ্গে যেতে পারে।  যদি আপনি আপনার মন খারাপের জন্য কোন কারন খুজে না পান বা কাউ কে বলেন যে আপনার মন খারপের পিছে কোন কারন নেই , তাহলে যেইটা হচ্ছে সেইটা হলো আপনি আপনার মন খারাপ এর সুনির্দিষ্ট কারন কাউকে বলতে চাচ্ছেন না। 

পাওয়া না পাওয়ার এক বছর - ২০১৩

মনে আছে সেই রাত টির কথা , "৩১শে ডিসেম্বর ২০১২ " অনেক কিছুর পালা বদলে নতুন করে এসেছিলো নতুন বছর ২০১৩, আজ পৌঁছে গেছে তার অন্তিমলগ্নে। অনেক কিছুই বদলে দিয়ে গেছে বছরটি , কিছু পেয়েছি , কিছু হারিয়েছি। না পাওয়ার বেদনা চেপে ফেলে পাওয়ার অনন্দ মেতে উঠার চেষ্টা করেছি।  * জানুয়ারি থেকেই শুরু হরতাল অবরোধ এর বছর ২০১৩, মনে পড়ে জানুয়ারিতে যখনই এক্সাম এর প্রস্তুতি খারাপ থাকতো , তখ নি কামনা করতাম হরতাল এর। যার ফলশ্রুতিতে এক মাসের টার্ম ফাইনাল ২ মাস লেগেছিলো শেষ করতে ।  * রাজাকার এর ফাসির দাবিতে পুরো বাংলাদেশ জেগে উঠেছিলো , ঢাকার শাহবাগ , খুলনার শিববাড়ি , চট্টগ্রাম এর প্রেসক্লাবে নেমেছিলো বিপুল জনস্রোত। * কথায় আছে আনলাকি থার্টিন। এই কথাটিকে পূর্ণতা দিতেই যেন ২০১৩ সালে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন অনেক গুনী মানুষ। মান্না দে , হুগো শ্যাভেজ , নেলসন ম্যান্ডেলা, ডেভিড ফ্রস্ট , রনি বিগস , পল ওয়াকার, কেন নরটন সহ অনেকে । * প্রিয় কিছু মানুষ কে পেয়েছি আমার সাথে। যাদের উপস্থিতিতে আমার জীবন একটু হলেও ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে । পেয়েছি একজন ভবিষ্যতের ব্লগার ।  * ক্রিকেট থেকে হারিয়েছি শচিন , ক্যালিস , হাসি দের মত জীবন্ত

__ নতুন বছরের প্রথম দিন

জানালা দিয়ে শীতের সকালের মিষ্টি রোদ এসে পরেছে আমার গায়ে , ঘুমু ঘুমু চোখে মোবাইলে স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি সকাল আট টা বাজে । স্থিতি জড়তায় আড়ষ্ট শরীর কিছুতেই কম্বল ছেড়ে উঠতে চাচ্ছে না । মোবাইল টি তুলে নিলাম কিছুক্ষনের জন্য, ঘুরে আসলাম ফেসবুক থেকে । এর মাঝে পাশের রুম থেকে আম্মুর ডাকে বিছানা ছেড়ে উঠলাম । ব্রাশ টা হাঁতে নিয়ে , উঠান দিয়ে হেঁটে বেড়ালাম । সকালের মিষ্টি রোদ এসে গ ায়ে পড়ছে। কতদিন এই রকম শীতের সকাল কাটায় না !!! কিছুক্ষন পর নাশতা করলাম । স্কুলের আমাদের ব্যাচের সবার এক হওয়ার কথা ছিলো । উদ্দেশ্য সবাই আজ আমাদের বাসা থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দূরে বন্ধু  Bichitra Biswas  এর বাড়ি যাবো । এই উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলাম সকাল দশটায়। অতিপরিচত এই আকা বাকা মেঠো রাস্তা ধরে এগিয়ে চলছিলাম বাজারের দিকে , মাঝপথে বন্ধু Alohin Robi  এর সাথে দেখা । অনেক দিন পর দেখা (মাঝে যদিও স্কাইপে দেখছিলাম কিছুদিন ) । ওর স্বভাব সুলভ এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো ওর মুখে। এইটার সাথে আমি পরিচিত। একসাথে আমাদের প্রানের স্কুল মাঠে এসে বসলাম দুইজন । কিছু পুরানো কথা , কিছু নতুন দিনের পরিকল্পনা এই নিয়েই কথা বলে যাচ্ছিলাম দুইজন। এরই মাঝে