ফেলানি হত্যা এবং নষ্ট মানবতা

একটা রাইফেল, একটা সীমান্ত।
একটা ভিনদেশী বুলেটের আততায়ী অনুপ্রবেশ।
কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে কিশোরীর লাশ!
ধর্ষিত পতাকায় আমার অক্ষম বর্ধিত দীর্ঘশ্বাস
ফেলানী -
আমার ভৌগলিক সীমান্তে লুণ্ঠিত জাতীয়তা।
কাঁটাতারে গেঁথে রাখা ভণ্ডামির মানবতা।
ফেলানী -
আমার কুৎসিত মৈত্রী সমৃদ্ধির বেশ্যা প্রবৃত্তি।
ভাড়ামির বন্ধুতার দায় দণ্ডিত জাতির পতাকা।
আজ ফেলানির মৃত্যুবার্ষিকী। এইদিনে প্রতিবেশিদের কাছ থেকে পেয়েছিলাম এই উপহারটি ।
আজও বিচার হয়নি , এই লগ্নে এসে বিচার চেয়েও পাইনি।
ক্যামনে পাবো ??
আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই,
আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি।
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতর।
এ দেশ কি ভুলে গেছে সেই দু:স্বপ্নের রাত,
সেই রক্তাক্ত সময়?
স্বাধীনতা -
এ কি তবে নষ্ট জন্ম?
এ কি তবে পিতাহীন জননীর লজ্জার ফসল?
জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন!
আমার লেখাটা পরার সময় হয়ত অনেকের কানে হিন্দী গান বাজতেসে অথবা সামনেই টিভি তে হিন্দী চ্যানেল চলতেছে!
থাক আমাদের জাতি দেশ প্রেমের মুখোশের নিচে!
লুকিয়ে থাক বিবেক!
আমিতো আমার ঘরে নিরাপদ! কি দরকার তাহলে কোন সীমান্তে কে মরছে তা নিয়া কথা বলার প্রতিবাদ করার???
বদলাবে না বাংলাদেশ , বদলাবে না আমাদের মানবিকতা , হাজার ফেলানি হারিয়ে যাবে অতল গহ্বরে।বি এস এফ আবার ও লাশ উপহার দেবে , আমরা হিন্দি গান শুনে ,হিন্দি মুভি দেখে সাদরে আমন্ত্রণ জানবো তাদের সংস্কৃতি কে।
ক্রেডিটঃ রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং শহরতলী ব্যান্ড ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

দুঃখ বিলাস

অর্থহীন- অদ্ভুত সেই ছেলেটি

ওয়ারফেজ - প্রতিচ্ছবি